নতুন ভবন তৈরির অজুহাতে বটগাছ কাটলেন চেয়ারম্যান

নতুন চারতলা ভবন তৈরির জন্য বটগাছটি কেটেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। গত মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি হাটে।  ছবি: প্রথম আলো
নতুন চারতলা ভবন তৈরির জন্য বটগাছটি কেটেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। গত মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি হাটে। ছবি: প্রথম আলো

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি হাটে নতুন ভবন তৈরির অজুহাতে একটি পুরোনো বটগাছ কেটেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। কোনো অনুমোদন ছাড়া সরকারি জমি থেকে বটগাছটি কেটে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বটগাছটি রক্ষা করেও হাটে নতুন ভবন তোলা যেত।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটটি বেশ পুরোনো। প্রথম দিকে হাটে কোনো গাছ ছিল না। রোদ মাথায় নিয়ে কেনাবেচা চলত। ১৫ থেকে ১৬ বছর আগে স্থানীয় লোকজন ছায়া পেতে হাটে কিছু বটগাছ রোপণ করেন। গাছগুলো দিনে দিনে বড় হয়ে ওঠে। ওই গাছের ছায়ায় গ্রামের লোকজন হাটে কেনাবেচা করত। সম্প্রতি খানমরিচ ইউপির চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান নতুন ভবন তৈরির কথা বলে গাছটি কাটার উদ্যোগ নেন। একপর্যায়ে তিনি মাত্র ২০ হাজার টাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে গাছটি বিক্রি করেন। চার-পাঁচ দিন আগে ওই ব্যক্তি হাট থেকে গাছটি
কেটে নেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গাছটি হাটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিল। এই গাছের ছায়ায় মানুষ কেনাবেচা করতে পারত। হাটে আরও অনেক ফাঁকা জমি আছে। গাছ না কেটে চেয়ারম্যান সেখানে নতুন ভবন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি কারও অনুমতি ছাড়াই গাছটি কেটেছেন। এতে সরকারি নিয়মও লঙ্ঘিত হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খানমরিচ ইউপির চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার ‘গ্রামই শহর’ নামে একটি প্রকল্প করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় হাটের উন্নয়নে চারতলা একটি ভবন হবে। ভবনটি নির্মাণ করতে হলে গাছটি কাটার কোনো বিকল্প ছিল না। ফলে বাধ্য হয়ে গাছটি কাটা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটার কোনো নিয়ম নেই। কোনো প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে অনুমোদন নিতে হয়। বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।