নির্বাচনের ফল বিচারের ভার বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল বিচারের ভার বাংলাদেশিদেরই। গতকাল মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মার্ক সিমন্ডস।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য কেন নতুন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে না—সাইমন ড্যানচুক এমপির এ প্রশ্নের জবাবে হাউস অব কমন্সে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক সিমন্ডস এ কথা বলেন।
মার্ক সিমন্ডস বলেন, দেশটিতে যে সংবিধান অনুযায়ী একটি নির্বাচন হয়েছে, সেটি প্রশ্নকর্তাকে বুঝতে হবে, যদিও অর্ধেকের বেশি সংসদীয় আসনে ভোটাররা ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
মধ্য ইংল্যান্ডের রচডেল এলাকার লেবার পার্টির এমপি ড্যানচুক এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি হাউস অব কমন্সে বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে একটি বিতর্কের সহ-উদ্যোক্তা ছিলেন। ওই বিতর্কে অংশগ্রহণকারী ব্রিটিশ এমপিরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রশ্নোত্তরের জন্য নির্ধারিত দিনে বাংলাদেশ বিষয়ে আরও প্রশ্ন করেন স্কানথর্পের লেবার পার্টির এমপি নিক ড্যাকিন। নিক ড্যাকিন বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনাগুলো খুবই উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে জানতে চান, দেশটিতে নাগরিকজীবনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সুশাসনের জন্য প্রধান দলগুলোকে ব্রিটিশ সরকার কোনোভাবে সহায়তা করছে কি না।
জবাবে মন্ত্রী সিমন্ডস বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী সহিংসতার নিন্দা করি এবং নির্বাচনী কাঠামো শক্তিশালী করায় কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি ভোটার তালিকা নবায়ন এবং প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের ব্যবস্থার উল্লেখ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে উন্নততর নির্বাচনের ভিত্তি শক্তিশালী করার কাজে আমরা সহায়তা করছি।’