নৌকায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ

হবিগঞ্জে অটোরিকশার চালকসহ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক তরুণীকে (১৯) হাওরে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই তরুণীর বাবা ওই দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। গতকাল বুধবার রাতে নৌকায় আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তরুণীকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলার ওই কিশোরী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে তাঁর কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যায় তিনি হবিগঞ্জ শহর থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশার চালক দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে অন্য রাস্তায় নিয়ে যান। একপর্যায়ে ওই চালক তরুণীকে জোর করে রাস্তার পাশে থাকা একটি নৌকায় উঠিয়ে উপজেলার আষেঢ়া হাওরে নিয়ে যান। এজাহারে বলা হয়, রাতে ওই চালক ও অপর এক ব্যক্তি তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ভোরের দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তরুণীকে সড়কের পাশে রেখে যান।

পুলিশ জানায়, সকালের দিকে স্থানীয় লোকজনে সহযোগিতায় ওই তরুণী হবিগঞ্জ সদর থানায় এসে তাঁর নির্যাতনের কথা জানান। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকেলে ওই দুই ব্যক্তিকে আসামি করে হবিগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন তরুণীর বাবা।

হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক দেবাশীষ দে বলেন, মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। তবে এখনো প্রতিবেদন হাতে পৌঁছায়নি।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীর বাবা আজ বিকেলে ধর্ষণ মামলা করেছেন। এতে দুজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।