ঢাবির ৬৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ সিন্ডিকেটে বহাল

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে গত ৬ আগস্ট সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় ওই সুপারিশ বহাল রাখা হয়েছে। এক সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬ আগস্টের এক সভায় সাময়িক বহিষ্কৃত ৬৯ জনকে অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। এবার সিন্ডিকেটও কারণ দর্শাতে তাঁদের সাত দিন সময় দিয়েছে। আগামী রোববার তাঁদের কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হবে। সিন্ডিকেটের পরবর্তী সভায় তাঁদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এসব শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

৬৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলেই তাঁদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা সবাই সিআইডির চার্জশিটভুক্ত আসামি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।