কচুরিপানা থেকে ক্র্যাফট পেপারের উদ্ভাবন

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কচুরিপানা থেকে উন্নত মানের ক্র্যাফট পেপার উদ্ভাবন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা গেলে গ্রামগঞ্জে কুটিরশিল্পের নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

গত বুধবার খুলনা নগরের এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘ক্র্যাফট পেপারের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় ওই মন্তব্য করেন বক্তারা। কীভাবে ওই কাগজের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ করা যায়, তা ঠিক করতেই ওই পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা বাংলাদেশের অন্যতম একটি আগাছা। খাল–বিল, বাঁওড় বা মাঠঘাটে প্রচুর পরিমাণ জন্মায় ওই আগাছা। অনেক ক্ষেত্রেই এটা দিয়ে তেমন কোনো কাজ হয় না, বরং ফসল ও মৎস্য উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও আমরা এত দিন খুঁজে পাইনি। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহায়তায় ওই কচুরিপানা ব্যবহার করে যে উন্নত মানের ক্র্যাফট পেপার তৈরিতে সাফল্য এসেছে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক।’ 

তিনি আরও বলেন, ওই উন্নত মানের ক্র্যাফট পেপারকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে খাল–বিলে আর কচুরিপানা ফেলনা হিসেবে থাকবে না এবং তা দিয়ে গ্রামগঞ্জে কুটিরশিল্প গড়ে উঠতে পারে। এটা আর্থিক উপার্জনের মাধ্যমও হতে পারে। 

অনুষ্ঠানে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন রায়হান আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের ব্লু গোল্ড ইনোভেশন ফান্ডের টিম লিডার গাই জোনস। অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন ওই প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) শিক্ষক মো. নাজমুল আহসান এবং পাওয়ার পয়েন্টে ক্র্যাফট পেপার তৈরির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরেন কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ওই পরামর্শ সভায় অংশ নেন।