কলাপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় দুই ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মী মো. রাকিবুল ইসলাম, কাজী আরিফ ও রিপন বয়াতীকে দায়ী করছেন আহতেরা।

আহত দুজন হলেন, রায়হান পাহলান (২৩) ও কাজী হাসান (১৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে তেগাছিয়া বাজারের উত্তর মাথায় রায়হান পাহলান ও কাজী হাসানের ওপর ১০-১২ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে সন্ত্রাসীরা দুজনকেই জাপটে ধরে। এরপর তাঁদের বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা হাতে থাকা রামদা দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সেখান থেকে রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রেফায়েত হোসাইন বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে দু’জনের অবস্থাই গুরুতর। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

কাজী হাসানের বাবা কাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে যাঁরা নির্দয়ভাবে কুপিয়ে আহত করেছে, তাঁদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে মো. রাকিবুল ইসলাম, কাজী আরিফ ও রিপন বয়াতীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম শামসুজ্জামান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই সংগঠনের কর্মীদের দ্বারা এমন ঘটনা ঘটেছে।

কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তা ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েও আহত দুজনকে পুলিশ দেখে এসেছে। এ ঘটনার যারা অপরাধী, তাদের ধরে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’