ঢাকায় চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শ্যামলীতে চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন ফাহিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর এক বন্ধু প্রথম আলোকে বলেন, খণ্ডকালীন চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গত মঙ্গলবার তাঁর বন্ধু শ্যামলীর একটি অফিসে গিয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিল, যে প্রতিষ্ঠানে তিনি যাচ্ছেন, সেটি বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা সরবরাহ করে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে পৌঁছানোর পর কোকের সঙ্গে তাঁকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়। এতে ওই ছাত্রী জ্ঞান হারান। পরে তিন–চারজন তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। 

শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফাহিম আহমেদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওষুধ ও টিকা সরবরাহ করে থাকেন। শ্যামলীর যে অফিসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সেখান থেকে গতকাল ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপর একটি সূত্র বলছে, শ্যামলী ৩ নম্বর সড়কের একটি ভবনের পাঁচতলায় তিনটি কক্ষের একটিতে ফাহিম আহমেদ অফিস খুলেছিলেন। অন্য দুটি কক্ষে তাঁর বোন ও ভাগনি থাকেন। ঘটনার সময় তাঁর বোন বাসায় ছিলেন না। পুলিশ ওই বাসা থেকে মদের বোতল উদ্ধার করেছে। 

পুলিশ নাহিদ পাটোয়ারী নামে অপর আসামিকে খুঁজছে। নাহিদ ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর বন্ধু এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনিই তাঁকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর অভিযোগ, পরে নাহিদও তাঁকে ধর্ষণ করেন।