নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি ভয়াবহ বললেও কম হবে: সুলতানা কামাল

সুলতানা কামাল। ফাইল ছবি
সুলতানা কামাল। ফাইল ছবি

নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি ভয়াবহ বললেও কম হবে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। এ সময় তিনি কন্যাশিশুদের প্রতি নির্যাতনের হার ও ধরন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

রাজধানীর এফডিসিতে শনিবার সকালে নুসরাত হত্যার বিচার নিয়ে ‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ছায়া সংসদ’ শীর্ষক বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

নারীরা সঠিক বিচার পেলে নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার ধারণ করত না বলেও মনে করেন সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, জবাবদিহির সংস্কৃতি থাকলে, অপরাধের শাস্তি হলে মানুষ অপরাধ থেকে দূরে থাকত। কিন্তু সেই বার্তা এখনো দুর্বৃত্তদের দেওয়া যায়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তারা আইনের আশ্রয় পাচ্ছে না। কিন্তু যারা নির্যাতন করছে, তারা আইনের ধারকদের কাছে প্রশ্রয় পাচ্ছে। এই প্রশ্রয় সরিয়ে নিতে হবে, আশ্রয়ের জায়গাটা অনেক বেশি দৃঢ় করতে হবে।

সম্প্রতি জামালপুরের জেলা প্রশাসকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সুলতানা কামাল বলেন, যেকোনো সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে। সেটি যখন হয় না, তখন তা নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে যায়। এখানে নারীও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে, পুরুষও পারে। এখানে যদি এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে কেউ একজন আসলেই দোষ করেছে, তার বিচার করতে হবে। তবে যারা এটা ভাইরাল করেছে, সেটা সুরুচির পরিচয় নয়। কারণ, সংস্কৃতিমান ব্যক্তি সংযমী হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন কমাতে ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, ‘শাস্তিমূলক সমাজ চাই না। কিন্তু দেখতে চাই, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার ওপর অন্যায় করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি বা তিনি বেঁচে নেই, তাঁর পরিবার মনে করবে, তিনি সঠিক বিচার পেয়েছেন। চূড়ান্তভাবে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি জনগণের নিজস্ব ভূমিকা পালন করতে হবে।’

সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া ও লালমাটিয়া মহিলা কলেজ অংশগ্রহণ করে।