ঢল এলেই তলিয়ে যায় সাঁকো

ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে শিশুরা। বর্ষায় পানি বাড়লে সাঁকোটি ডুবে যায়। তখন চলাচলে ভোগান্তি আরও বাড়ে গ্রামবাসীর। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির সাতভাইয়া পাড়ায়।  প্রথম আলো
ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে শিশুরা। বর্ষায় পানি বাড়লে সাঁকোটি ডুবে যায়। তখন চলাচলে ভোগান্তি আরও বাড়ে গ্রামবাসীর। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির সাতভাইয়া পাড়ায়। প্রথম আলো

খাগড়াছড়ি গোলাবাড়ী ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়ার পাহাড়ি ছড়ার ওপর ছোট্ট একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। বর্ষায় বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলে বছরে কয়েকবার তলিয়ে যায় সাঁকোটি। সাঁকোটি তলিয়ে গেলে গ্রামের মানুষের ছড়া পার হয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে পারেন না বাজারে।

ছড়ার ওপর বাঁশের নির্মিত সাঁকোটি নড়বড়ে হওয়ায় গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশ ও গাছের তৈরি সাঁকোটির দীর্ঘ প্রায় ৫০ ফুট। অতি ব্যবহার ও ঢলের কারণে সাঁকোটি বর্তমানে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়েরা বলেন, সাতভাইয়াপাড়া ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে এই এলাকা দিয়ে তেঁতুলতলা, মারমাপাড়া, যৌথ খামারসহ ৫টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢল নেমে এলে ছড়ার পানির স্রোত বেড়ে যায়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তখন ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি পার হতে হয়। ভারী বৃষ্টি হলে অনেক সময় শিশুশিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া বর্ষায় সময় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাঙা সাঁকোর ওপর দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাম্রাচাই মারমা বলেন, সেতু না থাকায় গ্রামের লোকজন অনেক কষ্ট পাচ্ছে। গত মাসের ভারী বৃষ্টির সময় স্রোতের তোড়ে সাঁকোটি ভেসে যায়। তখন গ্রামবাসী আবার সাঁকোটি মেরামত করে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিপ্রু মগ, ক্যাজাই মারমা ও অগ্যজাই মারমা বলেন, একটি সেতুর জন্য গ্রামবাসীকে কষ্ট করতে হয়। গ্রামের অনেকের সংসার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর নির্ভরশীল। সেতু না থাকায় অটোরিকশাগুলো গ্রামে ঢুকতে পারে না। সেতুর জন্য এমন কোনো জনপ্রতিনিধি নেই যে যার কাছে জানানো হয়নি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি।

গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সেতু তৈরি করার কোনো বাজেট নেই।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শানে আলম বলেন, ওই এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।