আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার কিশোরীটি

মৃত্যুর সাড়ে পাঁচ মাস পর জানা গেল রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের কিশোরী স্বপনা আক্তারের (১৩) মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। ওই সময় কিশোরীটি আত্মহত্যা করেছে বলা হলেও ময়নাতদন্তে বের হয়ে এল, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই কিশোরীর মামা ও খালাকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রোববার জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কিশোরী মেয়েকে নিজের বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজে যান শাহানাজ বেগম। গত ১৪ মার্চ সকালে শাহানাজের ছোট ভাই আজাহারুল ইসলাম ফোনে তাঁকে জানান যে মেয়ে স্বপনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই দিনই শাহানাজ বাড়িতে যান। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় ওই সময় তারাগঞ্জ থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে পুলিশ।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিন্নাত আলী বলেন, ওই ঘটনার সাড়ে পাঁচ মাস পর গত সোমবার স্বপনা আক্তারের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশ পায়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের পর স্বপনাকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শাহানাজ বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে শাহানাজের ভাই আজহারুল ইসলাম ও বোন শাহিনা আক্তারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। গতকাল শনিবার আদালত তাঁদের দুজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।