মাদক মামলায় দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাদক মামলায় দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় দেন।

সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন দৌলতপুরের মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. রুবেল (২৫) ও একই গ্রামের ভাংগন মণ্ডল (২৭)। রায় দেওয়ার সময় রুবেল ও ভাংগন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, মাদক–সংক্রান্ত আলামতের পরিমাণ ২৫ গ্রামের বেশি হলেই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। এ মামলার আলামতের পরিমাণ ৮০০ গ্রাম (প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম করে), যা ২৫ গ্রামের চেয়ে অনেক বেশি। রায়ের সময় আদালত বলেছেন, এই পরিমাণ মাদকদ্রব্য দিয়ে অনেকজনকে মাদকের অন্ধকূপে নিমজ্জিত করা সম্ভব ছিল। যার দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব কারণ বিবেচনায় নিয়ে দুই আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীতীরবর্তী মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় রুবেল ও ভাংগনের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাঁদের দেহ তল্লাশি করা হয়। প্রত্যেকের কাছ থেকে চারটি প্যাকেটে ৪০০ গ্রাম করে হেরোইন উদ্ধার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কুষ্টিয়া কার্যালয়ের পরিদর্শক তারেক মাসুদ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ১০ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।