ফোনে পরিচয় থেকে প্রেম, ডেকে নিয়ে ধর্ষণ

গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার (ডান থেকে) শিপন মিয়া (২০) ও শামীম মিয়া (১৯)। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার (ডান থেকে) শিপন মিয়া (২০) ও শামীম মিয়া (১৯)। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় এক নারী (২১) পোশাককর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রায়পুরায় গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছ পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন শিপন মিয়া (২০) ও তাঁর সহযোগী শামীম মিয়া (১৯)। তাঁরা রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা। তাঁদের আজ সোমবার আদালতের মধ্যে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি কাজের সূত্রে গাজীপুরে থাকেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই নারীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামি রুবেল মিয়া (২৫) ঘটনার পর থেকে পালাতক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর সঙ্গে দেড় বছর আগে রায়পুরারফোনে শিপন মিয়ার পরিচয় হয়। এরপর সেই সূত্রে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শিপন তাঁকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে রায়পুরায় যাওয়ার প্রস্তাব দেন। শিপনের কথামতো রোববার রাতে গাজীপুর থেকে রায়পুরায় রওনা দেন ওই নারী। রায়পুরার নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ডে নামার পর শিপন ও তাঁর দুই সহযোগী শামীম ও রুবেল তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পরে খাবার খাওয়ার কথা বলে একটি রিকশার গ্যারেজে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। এরপর সেখানে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে গ্যারেজ থেকে ওই নারী পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা দুজনেই নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা আক্তারের আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।