বৌভাত শেষে বাবার বাড়ি ফেরা হলো না নববধূর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে স্বামী-স্বজনদের সঙ্গে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন নববধূ নিশাত পারভীন। কিন্তু জীবিত অবস্থায় বাবার বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের হেমায়েতপুরে গতকাল রোববার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নিশাত পারভীন হেমায়েতপুরের আলমনগর সুগন্ধা হাউজিংয়ের নেছার আহাম্মেদের মেয়ে। গত শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের বেনারসি পল্লির বাসিন্দা স্বপনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। রোববার ছিল তাঁদের বৌভাতের অনুষ্ঠান।

পুলিশ ও নিহত নারীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রোববার দুপুরে আত্মীয়স্বজন নিয়ে মিরপুরে যান নিশাতের মা-বাবা। অনুষ্ঠান শেষে রাতে মেয়ে ও জামাতাকে নিয়ে তিনটি মাইক্রোবাসে করে সাভারে ফিরছিলেন তাঁরা। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাইক্রোবাসগুলো হেমায়েতপুরের আলমনগর সুগন্ধা হাউজিংয়ের কাছে পৌঁছালে একটি ট্রাক নিশাতকে বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পরপরই মাইক্রোবাসের দরজা ভেঙে রাস্তায় পড়ে যান নিশাত। পরে ট্রাকটি নিশাতের ওপর দিয়ে চালিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। একই মাইক্রোবাসে থাকা নিশাতের স্বামী স্বপন ও বাবা নেছার আহম্মেদও আহত হন।

পেছনের মাইক্রোবাসে থাকা নিশাতের মা নুসরাত জাহান বলেন, ‘প্রথমে একটি ট্রাকের ধাক্কায় আমাদের মাইক্রোবাসটি সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপরই আরেকটি ট্রাক সামনের মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আমার মেয়ে, জামাতা ও স্বামী রাস্তায় পড়ে যান। পরে ট্রাকটি আমার মেয়েকে পিষে রেখে চলে যায়।’

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। মাইক্রোবাস থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ার পর ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা যান নিশাত। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।