ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সংস্কারসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়ক সংস্কারসহ ১০ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৩২৬ কোটি ৯১ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৯৯৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসির সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৯৩ কোটি টাকা ।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো
কুড়িগ্রাম (দাসের হাট)-ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৮৫ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য বহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। ভূঞাপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা। পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৭৮ কোটি টাকা। নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩২৬ কোটি টাকা।
এ ছাড়া মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৮৮ কোটি টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব-স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৫৫ কোটি টাকা। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৫১ কোটি টাকা। কনভারশন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯১০ কোটি টাকা।