রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা দিলেই ব্যবস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারের উচিত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়া। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মিয়ানমারের উচিত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়া। প্রথম আলো ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। এ নিয়ে কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সমাবেশের পর সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু আলোচনা করেছি। অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা চাই পরিস্থিতির উন্নতি হোক। আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করব। সেই ব্যাপারে কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে সরিয়ে নিতে চায়। তারা রাজি না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে নেওয়া যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ভাসানচরের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এসব সংস্থার সবুজ সংকেত পেলে, আরেকটু বুঝিয়ে সুজিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর ব্যবস্থা হবে কি না, জানতে চাইলে এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘ওইখানে গেলে কি আমাদের সমস্যা দূর হবে? আমি তো মনে করি, আমাদের সমস্যা দূর হবে যখন তারা বাড়িতে ফিরে যাবে। সাময়িক এসব ব্যবস্থা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্ষায় অনেক বেশি বৃষ্টি হবে, এই পূর্বাভাষ ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করলেন অনেক বেশি ভূমি ধস হতে পারে। এতে অনেক লোক মারা যেতে পারে। সহমর্মী হয়ে তিনি প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের লাখখানেক সদস্যকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন, যাতে তারা একটু ভালো থাকে। তা ছাড়া কক্সবাজারে স্থান সংকুলানের বিষয়টিও ছিল। ভাসানচরে গেলে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। এর আগেই বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের যখন জিজ্ঞেস করা হলো, তারা যাবে কি না? তারা রাজি হলো না। বিশেষ করে, যাঁরা তাদের সেবা দান করেন, তাঁরা রাজি হলেন না। তাঁদের বড় আপত্তি, ভাসানচরের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ নয়। এমনিতেই তাঁরা শৈল শহরে পাঁচতারকা সুবিধা নিয়ে থাকেন। তখন সরকার ঠিক করল, রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে পাঠানো হবে না। তারা যদি স্বেচ্ছায় যায়, ঠিক আছে।’