মদ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয় ছাত্রীকে

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আসামির নাম নাহিদ পাটোয়ারী (৩২)। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার আওগান খিল গ্রামে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ডেকে এনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে আজ ঢাকার আদালতে তোলা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত এই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এর আগে মামলার অপর আসামি ফাহিম আহমেদকে গত ২৯ আগস্ট আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তাঁকে (ফাহিম) তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। ফাহিম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, গত ২৭ আগস্ট দুপুরে আসামি নাহিদ ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে ফোন দেন। চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য তাঁকে শ্যামলী আসতে বলেন। ওই ছাত্রীকে শ্যামলীর একটি বাসার পঞ্চম তলায় নিয়ে যান। ওই বাসার একটি চেয়ারে তাঁকে বসতে দেওয়া হয়। চাকরি বিষয়ে নানা প্রশ্ন জানতে চাওয়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ওয়াইন পান করার প্রস্তাব দেন আসামিরা। কিন্তু ওই ছাত্রী আসামিদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় আসামিরা জুসের সঙ্গে মদ মিশিয়ে পান করান। এরপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। তখন আসামি নাহিদ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নাহিদ পাটোয়ারী ও ফাহিম আহমেদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, নাহিদ পাটোয়ারীর সঙ্গে তাঁর ফেসবুকে পরিচয় হয়। মাঝেমধ্যে তাঁদের মধ্যে ফেসবুকে কথা হতো। ঘটনার দিন নাহিদই তাঁকে ফোন করে ডেকে আনেন। কথিত চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় নাহিদ সিগারেট ও মদ পান করার প্রস্তাব দেন। পরে কৌশলে কোকা–কোলার সঙ্গে মদ মিশিয়ে পান করান। তখন তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। প্রথমে ফাহিম আহমেদ তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে নাহিদও ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফেরার পর চোখমুখে পানি দেন আসামিরা। পরে আসামিদের অনুনয়–বিনয় করে বাসায় চলে আসেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, চাকরির দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে এসে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন আসামিরা। আসামি ফাহিম আহমেদ বেকার যুবক। আর নাহিদ বেসরকারি একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।