শ্রীপুরে পাকা ঘর পেল সাতটি পরিবার

শ্রীপুরে নতুন ঘর পাওয়া একটি পরিবার। গতকাল উপজেলার বরমী এলাকায়।  প্রথম আলো
শ্রীপুরে নতুন ঘর পাওয়া একটি পরিবার। গতকাল উপজেলার বরমী এলাকায়। প্রথম আলো

ইউসুফ আলীর বয়স ৬৫ বছর। একটি পুরোনো টিনের ঘরের বারান্দায় কাটিয়েছেন জীবনের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি পেয়েছেন আধপাকা দুই কক্ষের ঘর। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমন ৭টি গৃহহীন পরিবার পেয়েছে ৭টি ঘর। পরিবারগুলোকে ঘর বুঝিয়ে দেন স্থানীয় সাংসদ।

‘গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান নির্মাণ’ কর্মসূচির আওতায় পরিবারগুলোকে ঘর তৈরি করে দেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গতকাল বিকেলে ঘরের চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে এগুলো বুঝিয়ে দেন স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন। এ বছর ২৬ জুন থেকে ঘরগুলো নির্মাণ শুরু হয়। প্রতিটি পরিবার পেয়েছে দুটি করে শোয়ারঘর, একটি রান্নাঘর, একটি শৌচাগার ও ঘরের সামনে একটি বারান্দা। 

ঘর পেয়ে ইউসুফ আলীর পরিবার আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের মতো লাগছে। অনেক কষ্টের জীবনে একটি পাকা বাড়ি পেয়ে আমরা পরিবারের প্রত্যেক সদস্য খুশি।’ 

শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ খাতে এ উপজেলায় বরাদ্দ হয় ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৭ টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। বাড়িগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে ৭টি সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় যাঁরা ঘর পেলেন, তাঁরা হলেন উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজমাওনা গ্রামের আবদুল মালেক, কাওরাইদ ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের তোতা মিয়া, বরমী ইউনিয়নের মো. ইউসুফ, একই ইউনিয়নের মো. মোস্তাফা, রাজাবাড়ি ইউনিয়নের মিটালু গ্রামের মো. হারুন, বরমী ইউনিয়নের চরবহর গ্রামের কালজান বিবি ও গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম মোহিতুল ইসলাম বলেন, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান তৈরির এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। ঘর পেয়ে পরিবারগুলো খুব আনন্দিত। প্রতিটি পরিবার এখন নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারবে।