নানাকে গলা কেটে হত্যা, নাতি গ্রেপ্তার

নিহত বেলালের লাশ থানায় আনা হয়। ছবিটি বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় জয়পুরহাট সদর থানা থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো।
নিহত বেলালের লাশ থানায় আনা হয়। ছবিটি বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় জয়পুরহাট সদর থানা থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো।

জয়পুরহাটে এক নাতি তাঁর নানাকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসীরা নাতি বায়জিদ হোসেনকে (২২) রক্তমাখা ধারালো বটিসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। স্বজনদের দাবি, বায়জিদ হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন।

আজ বুধবার সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়া করিম নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম বেলাল হোসেন (৬৫)। তিনি পারুলিয়া পশ্চিমপাড়া করিম নগর গ্রামের বাসিন্দা। নাতি বায়জিদ হোসেন একই উপজেলার সগুনা গোপীনাথ গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্র ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বায়জিদ হোসেনের মা-বাবা দুজনেই ঢাকায় থাকেন। বায়জিদ হোসেন তাঁর নানার বাড়িতে থাকতেন। আজ সকালে বায়জিদ ও তাঁর নানা বেলাল হোসেন ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বায়জিদ হোসেন রক্তমাখা বটি হাতে নিয়ে বাড়ির বাইরে এসে পাশে থাকা তাঁর মামি মাকছুদা খাতুনকে ধাওয়া করেন।

এরপর গ্রামবাসী বায়জিদ হোসেনকে আটক করে বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বেলাল হোসেনের গলাকাটা লাশ ঘরে পড়ে আছে। গ্রামবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে আটক বায়জিদকে থানায় নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় বায়জিদের মামা রেজোয়ান হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আজ দুপুরে জয়পুরহাট সদর থানায় বায়জিদের মামা রেজোয়ান হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তাঁর বোন ও দুলাভাই ঢাকায় থাকেন। ভাগনে বায়জিদ হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে নানার বাড়িতে আছে। বায়জিদ মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে নানা ও নাতির মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ করেই বায়জিদ কেন তাঁর নানাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করলেন, সেটি তাঁরা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রায়হান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বায়জিদ হোসেন তাঁর নানাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।