১৪৩ জন নিয়োগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

একটি প্রকল্পে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন শূন্যপদে ১৪৩ জন নিয়োগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন এক কর্মসূচির আওতায় একটি প্রকল্পে ১৮টি পদের বিপরীতে শূন্যপদে ১৪৩ জন নিয়োগের জন্য গত ১৮ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে চাকরি প্রত্যাশীদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী দুজন প্রার্থী অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে দেখতে পান প্রতিষ্ঠানের তালিকায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। আবেদন করতে ব্যর্থ হয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন ও মোহাম্মদ ইউনুছ নামের দুই প্রার্থী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল মঙ্গলবার রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ আর এম কামরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

পরে এ বি এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইন দরখাস্ত করতে গিয়ে রিট আবেদনকারীরা লগইন করার পর প্রতিষ্ঠানের ঘরে ১৬২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখতে পান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তালিকায় নেই। অন্য সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকায় রিট আবেদনকারীরা আবেদন করতে ব্যর্থ হন, যা বৈষম্যমূলক—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত শুনানি নিয়ে বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রমে দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন। তবে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

রুলে গত ১৮ আগস্ট প্রকাশিত ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে অনলাইন আবেদনের কার্যপ্রণালী কেন বেআইনি ও অযৌক্তিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।