মোহাম্মদপুরে চাপাতির কোপে কিশোর খুন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর চান মিয়া হাউজিংয়ে গতকাল বুধবার রাতে চাপাতির কোপে মহসিন (১৪) নামের এক কিশোর খুন হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রুবেল হোসেনকে (২৩) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত মহসিন মোহাম্মদপুরের কাটাশুরে চাইল্ড হেভেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত। 

পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রাত ৯টার পর চান মিয়া হাউজিং এলাকার ২ নম্বর সড়কে মহসিন, রুবেলসহ কয়েকজন কিশোর মুঠোফোনে ছবি দেখছিল। একপর্যায়ে তাদের সমবয়সী একদল কিশোর এসে চাপাতি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মহসিন, রুবেলসহ তিন যুবক আহত হয়। তাদের মধ্যে মহসিন ও রুবেলকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহসিনকে মৃত ঘোষণা করেন। রুবেল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা একই দলের সদস্য। গতকাল বিকেলে তাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। তবে কী নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়েছিল, তা জানা যায়নি। হামলাকারী কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে মোহাম্মদপুরে ব্লক রেইড চলছে। তারা ধরা পড়লে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা চান মিয়া হাউজিং ও ঢাকা উদ্যানের কিশোর-তরুণ। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। 

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে কর্মরত উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে মহসিন ও তার বন্ধু রুবেল তাদের এক মেয়েবন্ধুকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কাটাশুরের কয়েকজন কিশোর-তরুণ এসে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই কয়েকজন কিশোর ও তরুণ চান মিয়া হাউজিংয়ে এসে মহসিনের ওপর হামলা চালায়। মহসিন ও রুবেলের সঙ্গে হামলাকারীরা একই সঙ্গে চলাফেরা করত। মহসিন তার মায়ের সঙ্গে চান মিয়া হাউজিংয়ে থাকত। তার বাবা মারা গেছেন। 

যোগাযোগ করা হলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলার পর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। 

 মহসিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।