পায়রা বন্দরের জন্য 'রাঙ্গাবালী'র উদ্বোধন

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে আনন্দ শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌযান ‘রাঙ্গাবালী’র উদ্বোধনের পর পানিতে ভাসানো হয়। এক মাসের মধ্যে এটি পায়রা বন্দরে পৌঁছাবে। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে আনন্দ শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌযান ‘রাঙ্গাবালী’র উদ্বোধনের পর পানিতে ভাসানো হয়। এক মাসের মধ্যে এটি পায়রা বন্দরে পৌঁছাবে। ছবি: সংগৃহীত

পায়রা সমুদ্রবন্দরে ব্যবহারের জন্য আনন্দ শিপইয়ার্ড নির্মিত বয়া লেয়িং নৌযান ‘রাঙ্গাবালী’র উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে আনন্দ শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌযানটি পানিতে ভাসানো হয়। এক মাসের মধ্যে এটি পায়রা বন্দরে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজ চলাচলে নৌপথ চিহ্নিতকরণে বয়া ব্যবহার করা হয়। রাঙ্গাবালী নৌযানে ২০ টন ধারণক্ষমতার একটি ক্রেন আছে। যা দিয়ে বয়া স্থাপন ও স্থানান্তরের কাজ চলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেডের (এএসএসএল) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল বারী বলেন, ‘পায়রা বন্দরের জন্য নির্মিত জাহাজ রাঙ্গাবালী অত্যন্ত উন্নত মানের। এ জাহাজ ভালো সেবা দেবে বলে আশা করছি।’ দেশে জাহাজ আমদানির প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণশিল্প দেশে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। সম্ভাবনাময় এ খাত একদিন রপ্তানি খাত হিসেবে জায়গা করে নেবে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপ্রকল্প পরিচালক কায়সার মাহমুদ বলেন, নির্ধারিত সময়েই আনন্দ শিপইয়ার্ড জাহাজ নির্মাণকাজ শেষ করেছে। এটা পায়রা বন্দরের জন্য বড় খুশির খবর। আনন্দ গুণগত মানের জাহাজ তৈরি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে সেবা দেবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে আনন্দ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরিফুল ইসলাম, ডেপুটি সুপারভিশন কনসালট্যান্ট মনিরুল ইসলাম, এএসএসএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, নির্বাহী পরিচালক তারিকুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।