ভাত নিয়ে বাবার কাছে পৌঁছাতে পারেনি সাদিয়া

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্রাকচাপায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হলে স্থানীয় লোকজন ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়, ০৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: সংগৃহীত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ট্রাকচাপায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হলে স্থানীয় লোকজন ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়, ০৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

বাবা ইসরাফিল হোসেন তেঁতুলিয়ার শালবাহান বাজারে অ্যালুমিনিয়ামের দোকানে কাজ করেন। রোজ দুপুরের মতো আজও সাইকেল চালিয়ে বাবার জন্য বাড়ি থেকে ভাত নিয়ে যাচ্ছিল স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৫)। কিন্তু ভাত নিয়ে বাবার কাছে আর পৌঁছানো হয়নি তার। দোকানে পৌঁছানোর আগেই একটি ট্রাক চাপা দেয় সাদিয়াকে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান বাজারে। নিহত সাদিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের যুগীগছ এলাকার ইসরাফিল হোসেনের মেয়ে। শালবাহান দ্বিমুখী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ট্রাকচালক কৃষ্ণ কান্ত রায়কে (২১) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় লোকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সাদিয়া সাইকেল চালিয়ে বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। শালবাহান বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে উল্টো দিক থেকে আসা বাংলাবান্ধাগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে। ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্কুলছাত্রীর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।