মামাকে মারধর করে কলেজছাত্রীকে অপহরণ

মেয়েকে অপহরণ করা হতে পারে—এমন আশঙ্কায় ঁতাকে সব সময় নজরে রাখতেন পরিবারের সদস্যরা। প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময়ও সঙ্গে থাকতেন কেউ না কেউ। এত কিছু করেও রক্ষা করা যায়নি মেয়েটিকে। সঙ্গে থাকা মামাকে মারধর করে ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায়। উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার জান মোহাম্মদের ছেলে তুহিন ইসলামের বিরুদ্ধে ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

কলেজছাত্রীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেট পড়া শেষ করে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটের একটি কোচিং সেন্টার থেকে ভ্যানে করে বাড়িতে ফিরছিলেন ওই কলেজছাত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মামাও। সন্ধ্যার দিকে বাগমারা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি সেতুর কাছে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা তুহিন কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ভ্যানের গতিরোধ করেন। এ সময় ওই ছাত্রীকে ভ্যান থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন তুহিন। বাধা দিতে গেলে মামাকে মারধর করে ছাত্রীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে অপহরণ করা হয়।

ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, তুহিন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। তাঁর পরিবারকেও একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এর আগে বেশ কয়েকবার তাঁর মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেন তুহিন। এরপর থেকে সব সময় মেয়ের সঙ্গে পরিবারের কেউ না কেউ থাকতেন।

তুহিনের বাবা জান মোহাম্মদ প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দুজনই একে অপরকে বিয়ে করতে চাইছিলেন। কিন্তু দুই পরিবার থেকেই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। তুহিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পারেননি বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে ঘটনাস্থল মোহনপুর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানেই মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।