কিশোরগঞ্জে রওশন বিরোধীদের ঝাড়ু মিছিল

রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির একাংশ চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় দলের অপর অংশের ঝাড়ু মিছিল। কিশোরগঞ্জ, ৭ আগস্ট। ছবি: তাফসিলুল আজিজ
রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির একাংশ চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় দলের অপর অংশের ঝাড়ু মিছিল। কিশোরগঞ্জ, ৭ আগস্ট। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশ চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় কিশোরগঞ্জে ঝাড়ু মিছিল ও কয়েক নেতার ছবিতে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির একাংশ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরে এই কর্মসূচি পালন করেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে রওশন এরশাদ, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নুর ছবিতে আগুন দেওয়া হয়। পাশাপাশি মুজিবুল হক চুন্নুকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মুজিবুল হক একই সঙ্গে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ।

রওশন এরশাদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নুর ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা-কর্মীরা। কিশোরগঞ্জ, ৭ আগস্ট। ছবি: তাফসিলুল আজিজ
রওশন এরশাদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নুর ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে জাতীয় পার্টির একাংশের নেতা-কর্মীরা। কিশোরগঞ্জ, ৭ আগস্ট। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আগে শহরের পুরান থানা এলাকায় জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

আশরাফ উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সকল প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলীয় সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে গঠনতন্ত্রের ২০ /ক ধারা মোতাবেক তাঁর মৃত্যুর পর জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলে সাংগঠনিক আদেশ দিয়ে যান। কিন্তু দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করে অবৈধভাবে রওশন এরশাদকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। যা দলের নেতা-কর্মীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি।

এ সময় জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সেলিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, জেলা যুবসংহতির সভাপতি আবদুল গণি মিয়া, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।