ভারতে পাচার হতো চীন থেকে আনা হাজারো মুঠোফোন

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২০০ মুঠোফোনসহ তিনজনকে আটক করেছে এপিবিএন। ছবি: সংগৃহীত
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২০০ মুঠোফোনসহ তিনজনকে আটক করেছে এপিবিএন। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাগের ভেতর অসংখ্য মুঠোফোন। আইফোন, স্যামসাং, ওয়ান প্লাস, টান্সেন্ট গেম, শাওমি ও নকিয়া ব্র্যান্ডের ২ হাজার ২৪৬টি মুঠোফোন। ব্যাগের ভেতরে কার্টনে করে মুঠোফোনগুলো নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন মো. সুজন (৪৯), শাহরিয়ার হোসেন (৩৩) ও মো. রফিকুল ইসলাম (২৭) নামে তিন ব্যক্তি। কিন্তু গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় বিমানবন্দরের বহিরাঙ্গনের ক্যানপি-২ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এঁদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া মুঠোফোনের মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

আটক তিন ব্যক্তির দাবি, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের জন্য এসব মুঠোফোন আনা হয়েছিল।

বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বলেন, আজ সকাল সাতটায় চীনের গুয়াংজু থেকে একটি বেসরকারি বিমানের ফ্লাইটে করে ঢাকায় আসেন সুজন, শাহরিয়ার ও রফিকুল। সকাল আটটার দিকে বিমানবন্দরের বহিরাঙ্গনের ২ নম্বর ক্যানোপি এলাকায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে তাঁরা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন। তবে পরে শুল্ক ফাঁকির কথা স্বীকার করে। পরে তাঁদের ব্যাগেজ তল্লাশি করে আইফোন, স্যামসাং, ওয়ান প্লাস, টান্সেন্ট গেম, শাওমি ও নকিয়া ব্র্যান্ডের ২ হাজার ২৪৬টি মুঠোফোন পাওয়া যায়। এগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেন এসব মুঠোফোন বাংলাদেশ ও ভারতে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। রাজেশ নামে ভারতীয় এক নাগরিকের মাধ্যমে এসব মুঠোফোনের একটি অংশ ভারতে পাচার করা হতো।
জানা গেছে, সুজনের বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার টগরবন্ড গ্রামে, শাহরিয়ারের বাড়ি ঢাকার ডেমরার পাড়ডগাইরের হাসেরপুলে এবং রফিকুলের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নওগাঁ (জয়তগঞ্জ) গ্রামে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের চোরাচালানবিরোধী ধারায় মামলা হয়েছে।