স্কুলে স্মার্টফোন নিতে পারবে না শিক্ষার্থীরা

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলে স্মার্টফোন নিতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি। আজ রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সেপ্টেম্বর মাসের ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন সেখানে সভাপতিত্ব করেন।

মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সভায় জেলার মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা করা হচ্ছিল। দেখা গেছে, অন্য অপরাধের চেয়ে ধর্ষণের ঘটনা কিছুটা বেড়েছে। এমন সময় সভার একজন সদস্য প্রস্তাব দেন, সাইবার অপরাধ রোধে অন্তত মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা যেন স্মার্টফোন নিয়ে বিদ্যালয়ে না আসে, বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিত। পরে ওই সিদ্ধান্তে অন্যরা সায় দেন। এরপর বিষয়টি দেখভাল করার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

অন্যদিকে, সভায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে কোনো সালিস বিচার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ৯৯৯-এ ফোন করে আইনি সহায়তা নেওয়া যাবে।

সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলের সমাবেশে ও মসজিদগুলোতে খুতবার সময় আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া মাদকের মামলার আসামিরা যেন সহজে জামিন না পান, সেই দিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানানো হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সভায় জানানো হয়, ডেঙ্গু এখন আর কোনো সাময়িক সংক্রমের ব্যাপার নয়। সারা বছর এডিস মশার প্রকোপ থাকতে পারে। তাই সবাইকে সারা বছর ডেঙ্গুর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় গত আগস্ট মাসে ৬টি চুরি, ৩টি খুন, ৩টি অস্ত্র আইন, ১টি ধর্ষণ, ১৫টি নারী ও শিশু নির্যাতন, ১২৬টি মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আইনে ৭৭টিসহ মোট ২৩১টি মামলা হয়েছে। জেলার ৯টি থানায় গত জুলাই মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ৩৪০টি। খুলনা জেলায় গত মাসের তুলনায় ১০৯টি মামলা কমেছে।

এদিকে খুলনা নগরের ৮টি থানায় গত আগস্ট মাসে ১২টি চুরি, খুন ৩টি, অস্ত্র আইনে ১টি, ৬টি ধর্ষণ, ৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন, ৮৩টি মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আইনে ৩৩টিসহ মোট ১৪৫টি মামলা হয়েছে। খুলনা নগরের ৮ থানায় গত জুলাই মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ১৪৭টি। খুলনা নগরে গত মাসের তুলনায় ২টি মামলা কমেছে।

সভায় খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন এস এম আবদুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।