ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে দুদকের অভিযান

বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের সিবিএর সাবেক সভাপতির প্রাধিকারবহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার এ অভিযান চালানো হয় বলে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

দুদক জানিয়েছে, সংস্থার হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ আসে, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের সিবিএর সাবেক সভাপতি একটি নিশান গাড়ি ২০০৯ সাল থেকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছেন। অভিযোগ পেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের সময় দুদকের দলটি পরিবহন পুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন কর্মকর্তাকে সচিবের অনুমোদন ছাড়াই অফিসে অনুপস্থিত পায়। পরে দলটি পরিবহন পুলের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ওই গাড়ির তিনটি আসল এবং তিনটি নকল লগবই উদ্ধার করে। দুদকের দলটি ওই ছয়টি লগবই এবং গাড়ির চাবি করপোরেশনের সচিবের কাছে জমা দেয়। একই সঙ্গে লগবইয়ের সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করে। এ অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক দলটি।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারি করতে হয়রানির অভিযোগে সেখানে অভিযান চালায় দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক। অভিযোগসংশ্লিষ্ট খতিয়ানের দাগ নম্বর হাতে ঘষে পরিবর্তন করা হয়েছে, এমন প্রমাণ পেয়েছে দলটি। এ ছাড়া আরেকটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নামজারি মামলার নথি দুদক দলের কাছে উপস্থাপন করতে পারেনি ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষ। এ অনিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদকের দলটি।

সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সরকারি টোল আদায় বাবদ প্রাপ্ত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়। অভিযোগ আসে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আদায় করলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করছেন। অভিযানের সময় দুদকের দলটি অভিযোগসংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে। নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত চেয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী দল।

এদিকে রাস্তা সংস্কারের কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে এবং অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এনএটিপি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পেয়ে দুদকের ঢাকা ২ সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আলাদা দুটি অভিযান চালানো হয়।