কৃষ্ণার অবস্থার উন্নতি, গ্রেপ্তার হননি বাসমালিক
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো কৃষ্ণা রায়ের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) হিসাব বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক।
কৃষ্ণা রায় পঙ্গু হাসপাতালের অধ্যাপক মো. আবদুর রবের অধীনে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সম্পর্কে এই চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, কৃষ্ণার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। রোববার তাঁর হাঁটুর ওপরে কাটা অংশে পরিষ্কার করা হয়েছে। পায়ের কাটা অংশ শুকাতে শুরু করেছে। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে সেখানে কৃত্রিম পা বসানো যাবে। তবে তাতে সময় লাগবে।
গত ২৭ আগস্ট ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের বেপরোয়া গতির একটি বাস বাংলামোটরে ফুটপাতে উঠে পড়ে। এতে কৃষ্ণা রায়ের হাঁটুর নিচ থেকে পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁর জীবন রক্ষায় পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলেন। পরে সংক্রমণ হওয়ায় তাঁর হাঁটুর ওপরের কিছু অংশও কেটে ফেলা হয়।
কৃষ্ণা রায়ের ছেলে কৌশিক রায় প্রথম আলোকে বলেন, মা পা হারিয়ে কাঁদছেন, আর বলছেন তিনি আগের মতো আর স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবেন না। একেবারে ভেঙে পড়েছেন।
এদিকে কৃষ্ণা রায়ের বাঁ পা পিষে দেওয়া বাসের মালিক ও চালকের সহকারীকে ১২ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের ধরতে থানা-পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছে। এর আগে গ্রেপ্তার বাসটির অনিয়মিত চালক মো. মোরশেদ কারাগারে আছেন। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।