অপরাধে জড়ানো কিশোরদের তালিকা করবে পুলিশ

পাড়া–মহল্লায় অপরাধে জড়িয়ে পড়া কিশোরদের তালিকা করবে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত এসেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধে জড়িয়ে পড়া কিশোরদের শনাক্তে বিট পুলিশিং জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কিশোর–তরুণদের তালিকা তৈরি করবে পুলিশ। শাস্তিযোগ্য অপরাধে জড়ালে শাস্তি নিশ্চিত করা, না হলে বুঝিয়ে সুপথে ফিরিয়ে আনতে চায় পুলিশ। যারা এই কিশোরদের অপরাধে সম্পৃক্ত হতে বাধ্য করছে, তাদেরও শনাক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গতকাল।

এ ছাড়া মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়। গত মাসে এ ধরনের অপরাধের আসামি শনাক্তে পুলিশ ভালো করেছে বলে মনে করছে ডিএমপি। এর ফল হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের।

>

দেশের কোথাও যেন কিশোর ‘গ্যাং কালচার’ গড়ে উঠতে না পারে, সে ক্ষেত্রে তৎপর থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশপ্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো বলছে, গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার ডিএমপি কমিশনার হিসেবে ছিল শেষ বৈঠক। বৈঠকের দৈর্ঘ্যও ছিল সংক্ষিপ্ত।

গ্যাং কালচার নিয়ে আইজিপির সতর্কতা
এদিকে গতকাল কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারকে গ্যাং কালচার যেন গড়ে উঠতে না পারে, সে ক্ষেত্রে তৎপর থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। পুলিশ সদর দপ্তরে ঢাকা, চাঁদপুর, নওগাঁ, গাইবান্ধা ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারদের ব্রিফিং দেন আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, গ্যাং কালচারের নামে শিশু-কিশোরদের সমাজে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দেশের কোথাও যেন কিশোর ‘গ্যাং কালচার’ গড়ে উঠতে না পারে, সে ক্ষেত্রে তৎপর থাকার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন করা দুরূহ। এ কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনারও নির্দেশ দেন।

আইজিপি বলেন, জনগণ বিপদে পড়ে অসহায় অবস্থায় পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। থানায় আসা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তাদের সমস্যা ও অভিযোগের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। থানা হবে জনগণের আস্থার জায়গা।