তিন অস্ত্র ব্যবসায়ী কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তিনটি বিদেশি রিভলবারসহ গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার তাঁদের আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম) তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তিন আসামি পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী। আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলেছে, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য তাঁরা এসব আগ্নেয়াস্ত্রসহ একত্র হয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার টিয়ারগাঁও গ্রামের আবদুল শহীদ (৪০), সুনামগঞ্জের কোনাপাড়া গ্রামের আনছার মিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুনিওয়াট গ্রামের দোলন মিয়া (৩৮)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী। রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিন আসামি।

৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল। আসামিদের কাছ থেকে তিনটি রিভলবার, ১৬টি গুলি জব্দ করা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে সেদিন প্রত্যেককে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

এ ঘটনায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের পরিদর্শক শেখ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। পাঁচজনকে মামলার আসামি করা হয়।

পুলিশ এবং আদালত সূত্র বলছে, তিনজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও এজাহারে নাম থাকা দুই আসামি পলাতক আছেন। তাঁরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমেল কান্দি গ্রামের আমিন মিয়া (৪০) এবং সিলেটের নোয়াগাঁও গ্রামের আরাব আলী (৫০)।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।