শিয়ালের কামড়ে ২৭ জন আহত, আতঙ্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিয়ালের কামড়ে অন্তত ২৭ জনকে আহত হয়েছেন। রোববার রাতে কয়েক দফায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডসহ উপজেলার ওজানচর ইউনিয়নের শেখেরকান্দি, সদর ইউনিয়নের খোষকান্দি ও মানিকপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে শিয়াল পথচারীদের কামড়ে দেয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মাকসুদা বেগম বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ অন্ধকার থেকে শিয়ালের ডাক শুনতে পাই। দ্রুত হাঁটা শুরু করতেই শিয়াল তাড়া করে কামড় দেয়। কোনোমতে দৌড়ে অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে রক্ষা পাই।’

উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের বাহার উদ্দিন বলেন, রাতে গ্রামের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক শিয়ালের কবলে পড়ি। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও শেয়ালের কামড় থেকে রক্ষা পাইনি।

উপজেলার দরি বাঞ্ছারামপুরের সরকার বাড়ির মো. মিঠু বলেন, রোববার রাতে বাড়ির সামনে বের হতেই এক শিয়াল তাড়া করে। কিন্তু পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। শিয়ালের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, রোববার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত ২৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের দ্রুত টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র খলিলুর রহমান মোল্লা বলেন, এলাকায় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক আছে। তবে পৌরসভার বাইরে বেশিসংখ্যক লোকজন আহত হয়েছে। সবাইকে একাকী চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফুল ইসলাম জানান, শিয়ালের কামড়ে লোকজনের আহত হওয়ার খবর শুনেছি।