রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় প্রসঙ্গটি তোলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। সন্ধ্যায় বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো প্রথম আলোকে জানায়, রোহিঙ্গা সমস্যার সর্বশেষ অবস্থা দেখতে আগামী কিছুদিনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরের মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ নিয়ে কথা বলেছেন। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এবং অধিবেশনের ফাঁকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কীভাবে আলোচনা করা যায়, সে প্রসঙ্গও তাঁদের আলোচনায় এসেছে। স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র যে বাংলাদেশের পাশে থাকবে, তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল আবার উল্লেখ করেন।

২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত বেশ কিছু দেশি-বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এসব এনজিওর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কক্সবাজারে এদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। এসব এনজিওর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও অ্যাডরাও রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে গতকাল রোববার সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আর্ল মিলার এনজিওগুলোর বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণ জানতে চেয়েছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে তাঁদের মধ্যে এ নিয়ে কী কথা হয়েছে, সেটি তাঁরা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তবে রোববার আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কিছু এনজিওর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে। এনজিওগুলো মোনাজাত করার কথা বলে সরকারের কাছ অনুমতি চেয়ে উখিয়ায় রাজনৈতিক মহাসমাবেশ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা মহাসমাবেশে এনজিওগুলোর প্রত্যক্ষ সহায়তা ছিল। অভিযুক্ত এনজিওগুলোর বিষয়ে সরকার আরও খোঁজখবর নিচ্ছে