চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জাহাঙ্গীর আলম নেত্রকোনার কমলাকান্দা থানার শিবপুর এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি কোনাবাড়ীর পারিজাত এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার জানায়, কোনাবাড়ী এলাকায় বড় বোনের বাসায় থাকত মেয়েটি। মেয়েটির বোন তাঁদের প্রতিবেশী মো. জাকারিয়াকে কিশোরীটির একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে অনুরোধ জানান। জাকারিয়া জানান, তাঁর পরিচিত মো. জাহাঙ্গীর আলম মেয়েটিকে চাকরি দিতে পারবেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাহাঙ্গীরের বাসায় মেয়েটিকে রেখে চলে যান জাকারিয়া। এ সময় জাহাঙ্গীর কিশোরীকে বাসার ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

পরে জাহাঙ্গীর বাসা থেকে বেরিয়ে গেলে মেয়েটি কৌশলে পালিয়ে এসে তার বোনকে পুরো ঘটনা জানায়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানো হলে তাঁরা জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ব্যাপারে কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।