স্ত্রী তানজিলাসহ পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র

চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তাঁর স্ত্রীসহ পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেয় নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ।

আসামিরা হলেন, মোরশেদের চিকিৎসক স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী, তাঁর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা শামীমা শেলী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী ও বন্ধু চিকিৎসক মাহবুবুল আলম। তবে তানজিলার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয় বন্ধু প্যাটেলের জড়িত থাকার তথ্য পেলেও পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এর ওপর শুনানির জন্য এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি। পাঁচ আসামির মধে৵ তানজিলা ঘটনার পর গ্রেপ্তার হন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। বাকি আসামিরা গ্রেপ্তার হননি।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে প্যাটেল, মাহবুবসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন এবং তাঁর আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় মোরশেদের মা বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ ১ ফেব্রুয়ারি তানজিলাকে গ্রেপ্তার করে। মোরশেদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালে একই হাসপাতালের চিকিৎসক তানজিলাকে বিয়ে করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদের জানান, মোরশেদকে আত্মহত্যার প্ররোচনার তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

মামলার বাদী মোরশেদের মা জোবেদা খানম প্রথম আলোকে বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁর ছেলে। পরে জানতে পারেন স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও ফেরাতে পারেননি। তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।