'ধন্যবাদ' দিয়ে 'বেকায়দায়' বিএনপির সাংসদ

বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। ফাইল ছবি
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদে গতকাল বুধবার প্রশ্নোত্তর–পর্বে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ স্পিকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি বেকায়দায় আছি। গতকাল (সোমবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। আপনাকে এবং চিফ হুইপকেও ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। এ নিয়ে মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে, টক শোতে আলোচনা চলছে। দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?’

জবাবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে আপনি অন্য সময়ে বলবেন।’

এ ছাড়া বিএনপির রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদে সাংসদদের উপদেষ্টা থাকার বিষয়টি বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমি মনে করি, উপজেলায় সাংসদদের উপদেষ্টা থাকাটাই বাঞ্ছনীয়।’

রুমিন ফারহানার প্রশ্ন ছিল—উপজেলা আইনে সাংসদদের উপদেষ্টা করে রাখা হয়েছে। এটি সংবিধানের ৫৯ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আইন সংশোধন করে সাংসদদের উপদেষ্টা পদ বাদ দেওয়া হবে কি না? 

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সাংসদেরা এলাকার মানুষের দেখভাল করেন। কারণ, তাঁরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সাংসদেরা উপদেষ্টা থাকলে এলাকার কাজের মান বাড়ে। আমি বুঝলাম না, সাংসদেরা স্বাধীনভাবে কাজ করলে অসুবিধা কোথায়? তাঁরা থাকলে শিক্ষার মান বাড়ে। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়।’ 

মশিউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ‘পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প’–এর আওতায় আর্সেনিক দূষণযুক্ত এলাকায় ২ হাজার ৩৯০টি রিংওয়েল বসানো হবে। প্রতিটি রিংওয়েল বসানোর জন্য ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে সহায়ক চাঁদা নেওয়া হবে।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা খাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা করে; চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটির জন্য ১ কোটি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির জন্য ৫০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার সব পাইপলাইন পরিবর্তন করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিএমএ (ডিস্ট্রিক্ট মিটারড এরিয়া) পদ্ধতি চালু করেছে। এর ফলে রাজধানীর কোথাও কোথাও পানির অপচয় ৫–৭ ভাগে নেমে এসেছে, যা আগে ৪০ ভাগ ছিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে।