জালিয়াতি করে ভর্তি হলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে ঢাবি ছাত্রলীগ

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত গ-ইউনিটের মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির পরীক্ষা। এই পরীক্ষা সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনো শিক্ষার্থী জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভর্তি হলে ছাত্রলীগ সেটি মেনে নেবে না। এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই হুঁশিয়ারি দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে ছাত্রলীগের কর্মসূচি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

লিখিত বক্তব্যে সনজিত বলেন, ‘গণমাধ্যমের বন্ধু, পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে; সে জন্য সব পক্ষই যেন সতর্ক থাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা মেধাভিত্তিক উৎসবের প্রতিযোগিতায় পরিণত হোক—এটাই আমাদের চাওয়া। ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও যেন কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন না করতে পারেন, সে জন্য যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ছাত্রলীগ তা মেনে নেবে না, এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’ ভর্তি জালিয়াতি সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি। আর সন্তান যেন কোনো রকম জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত না হন, সে জন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্যার এ এফ রহমান হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আবদুল আলীম খানসহ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়াও ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দশ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে আছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের রাতে হলে থাকার ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য দিক নির্দেশক চিহ্ন ও সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষাকেন্দ্রে নেওয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ ইত্যাদি।