পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যাত্রীদের চাপ, যানবাহন চলাচলের গতি, সড়কের দৈর্ঘ্য, ডাস্ট ম্যানেজমেন্ট, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার স্থপতিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রত্যক্ষ করার সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য আপনাদের জনগণের সম্ভাব্য চাপ, যানবাহনের গতি, প্রকল্প এলাকাগুলোর সড়কের দৈর্ঘ্য ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রী যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, ভূগর্ভস্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা ও এ লক্ষ্যে পানি সংরক্ষণের জলাধার খননে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য স্থপতিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের জন্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে নতুন ভবনগুলোতে কিছুটা খোলা জায়গা, ন্যাচারাল ভেন্টিলেশন, বারান্দা ও আধুনিক অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখার জন্য তাঁদের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা নির্মাণাধীন বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ও ভবনগুলোতে যথাযথ বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর সব দিকের পরিবর্তে একদিকে পয়োনিষ্কাশন লাইন নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ভবনগুলোর হোলসেল নির্মাণ বন্ধে আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আসনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে আরও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সরকার প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করছে।’

প্রধানমন্ত্রীর সামনে যে প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হলো সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির মধ্যে বহুতল ফ্ল্যাট ভবন নির্মাণের সংশোধিত মাস্টার প্ল্যান এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভার জন্য বড় পরিসর রেখে ২০ তলা ভবন নির্মাণের একটি প্রকল্প।

অন্য দুটি প্রকল্প হচ্ছে শেরেবাংলা নগরে বিশ্ববিখ্যাত প্রকৌশলী লুই আই কানের স্থাপত্যের সঙ্গে সংগতি রেখে ৪৩ একর জমির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ এবং রাজধানীর হাতিরঝিলে ২০ তলা বহুমুখী ভবন নির্মাণ।