গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় মিনিস্টার-মাইওয়ান ইলেকট্রনিকসের কারখানায় লাগা আগুন ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে সকাল সোয়া সাতটার দিকে কারখানাটিতে আগুন লেগেছিল।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. মানিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেলা দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ডাম্পিংয়ের কাজ করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করে দেখা হবে।

অগ্নিকাণ্ডের পরপরই মো. মানিকুজ্জামান বলেছিলেন, ‘কারখানাটিতে ফায়ার অ্যালার্ম ও অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল না বলে ২০-২৫ দিন আগেও আমরা নোটিশ দিয়েছিলাম, কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয়নি। এ কারণে কলকারখানা অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’

কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকালে ছয়তলা কারখানা ভবনের ষষ্ঠ তলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ছয়তলা আরেকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার হওয়ায় কারখানাটি বন্ধ ছিল। আগুন ধরার অল্প সময়ের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আগুন কারখানার পঞ্চম তলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাজীপুর, টঙ্গী, শ্রীপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানের ১০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাজীপুরে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
গাজীপুরে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

কারখানাটির হেড অব মিডিয়া কে এম জি কিবরিয়া বলেন, কারখানায় তৈরি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাক্ট ষষ্ঠ তলায় মজুত করে রাখা ছিল। তবে সেখানে কত টাকার পণ্যসামগ্রী ছিল, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি। কারখানায় প্রায় দুই হাজার কর্মী বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শামসুন্নাহার, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ও পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, মিনিস্টার কারখানায় আগুনের কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।