অতিথিকক্ষে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের ৭ কর্মী আহত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদার বখশ হলে প্রতিপক্ষের মারধরে ছাত্রলীগের সাত কর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে হলের অতিথিকক্ষে বসা নিয়ে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত সবাই সাবেক কমিটির এক প্রার্থীর অনুসারী।

ছাত্রলীগের আহত কর্মীরা হচ্ছেন অমিত হাসান ওরফে লিমন, একরাম হোসেন ওরফে রিয়ন, মারুফ পারভেজ, রশিদ, রনি, জসিম ও রাজিব। আহত ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সাকিবুল হাসান ওরফে বাকির অনুসারী। মারধরে আহত একজনকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে কপালে দুটি সেলাই দেওয়া হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওই হলের শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে হলের অতিথিকক্ষে ছাত্রলীগের কর্মী কামরুল ও আরও দুজন বসেছিলেন। অমিত হাসান অতিথিকক্ষে তাঁর তিন বান্ধবীকে নিয়ে আসেন। তিনি বান্ধবীদের জন্য বসার জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। এতে কামরুল তাঁকে গালাগাল দেন। এর প্রতিবাদ করায় কামরুল তাঁর বন্ধুকে নিয়ে অমিতকে মারধর করেন। অমিত ফোনে সাকিবুলকে বিষয়টি জানান। কিছুক্ষণ পর সাকিবুল হাসানের অর্ধশত কর্মী মাদার বখশ হলে যান। তাঁরা কামরুলের কক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন এবং জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির শতাধিক নেতা-কর্মী হলের সামনে আসেন। তাঁদের কয়েকজন সাকিবুলের পাঁচ অনুসারীকে মারধর করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।

মারধরের কথা অস্বীকার করে গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ জানান, হলের অতিথিকক্ষে বসা নিয়ে বহিরাগতরাই কামরুলকে মারধর করেছে। পরে তার রুমের জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা প্রক্টরসহ সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির মীমাংসা করেছি।

প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।’