ভুয়া জন্মসনদে ছেলের বাল্যবিবাহ, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে বয়স বাড়িয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বর ও কনেপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার ২০ হাজার টাকা বর ও বরের বাবা এবং ১০ হাজার টাকা কনের মামাকে দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বরিশালের হিজলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

দেশের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে, ছেলেদের বিয়ের বয়স ন্যূনতম ২১ বছর এবং মেয়েদের ন্যূনতম ১৮ বছর। ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধানে (১৯ ধারায়) বলা আছে, নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মা অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। তবে এই আইনের বিশেষ ধারা ছাড়া ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ে এবং ২১ বছরের কম বয়সী ছেলেরা বিয়ে করলে তা বাল্যবিবাহ হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গত বুধবার মুলাদি বাজারের এক কাজি অফিসে সাড়ে ১৭ বছর বয়সী বরের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ের বিয়ে নিবন্ধন করা হয়। বরের বয়স বাড়িয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদে প্রাপ্তবয়স্ক দেখানো হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গোপনে বিয়ে হলেও গতকাল বিকেলে নববধূকে বরণের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নিয়ে হাজির হলে বরের বাবা ও বর আইন লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭–এর ধারা ৭(১) ও ৮ অনুযায়ী বর ও তার বাবাকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা এবং বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় একই ধারায় কনের মামাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।