নওগাঁর পত্নীতলা থেকে ঢাকায় ফেনসিডিল আনত চক্রটি

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নওগাঁ জেলার পত্নীতলা এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ঢাকায় এনে বিক্রি করত চক্রটি।

রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল, ৩ হাজার পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেপ্তার চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গতকাল শুক্রবার এই আদেশ দেন।

চার আসামি হলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কুশিয়ারা গ্রামের শাহজালাল (৪৭), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আজমেরীবাগ গ্রামের নুর ইসলাম খোকন (৫১), মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কাজিসাল গ্রামের রাজা মিয়া (৫৫) ও মাদারীপুরের শিবচরের কাজিরচর গ্রামের আক্তারুজ্জামান মিয়া (৪৫)।

ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার চারজনসহ মোট পাঁচজনের নামে মামলা করেন।

মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তাঁরা রাজধানীর শ্যামপুরের পোস্তগোলা সেতুর ওপর অবস্থান করছিলেন। তখন একটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাসকে থামার জন্য সিগন্যাল দেন। কিন্তু ওই ট্রাক আর মাইক্রোবাস না থেমে জুরাইন রেলগেটের দিকে চলে যায়। তখন অভিযান চালিয়ে জুরাইন রেলগেটে ওই ট্রাক ও মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। মাইক্রোবাসে অবস্থান করা আসামি জালাল জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, গাড়িতে ফেনসিডিল ও পেথিডিন রয়েছে। পরে গাড়ি থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া ফেনসিডিল ভারতের কারখানায় তৈরি। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, নওগাঁর পত্নীতলা এলাকা থেকে এসব ফেনসিডিল ও ইনজেকশন সংগ্রহ করে তা ট্রাক ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আনেন। এই মাদক তাঁরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিলেন। আসামিদের কাছে পাওয়া মাদকের মূল্য ৫০ লাখ টাকা।

মামলার বাদী ডিবির উপপরিদর্শক আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই চক্রটি নওগাঁর পত্নীতলা থেকে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিক্রি করছিল। যে চারজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা সবাই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে প্রধান আসামি শাহজালালের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।

অবশ্য চার আসামি আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জামিনের আবেদন করেছেন। আদালত তাঁদের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।