পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে ইয়াবা ব্যবসায়

ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি
ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি

মেহেদি হাসান পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। নৈতিক স্খলনজনিত কারণে ২০১৭ সালে তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। এরপর থেকে যুক্ত হন ইয়াবা ব্যবসায়। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মেহেদী হাসান কনস্টেবল হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে পুলিশ বিভাগে চাকরি করেন। ২০১৭ সালে একটি অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করা হলে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

শুক্রবার দিবাগত রাতে চকরিয়া থানার পুলিশ চকরিয়া পৌর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে ইয়াবা কেনার সাড়ে তিন লাখ টাকা ও ১৯৫টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মেহেদী হাসান (৪৩) দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার তালপুকুর এলাকার আজিজা রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার আরেকজন হলেন রাজধানীর রামপুরার পূর্ব হাজীরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ফয়েজ আহমদ (৩৫)।

গ্রেপ্তার মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকা থেকে আসার আগে চকরিয়ার একটি ইয়াবা কারবারি চক্রের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এ জন্য চকরিয়ার ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। রাতে চক্রটির ইয়াবা লেনদেন করার কথা ছিল। হঠাৎ পুলিশ হানা দিয়ে তাদের আটক করে। কক্সবাজারের চেয়ে চকরিয়ায় ইয়াবা কেনাবেচা অনেকটা নিরাপদ জেনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ীরা চকরিয়ার বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেন বলেও জানান মেহেদি হাসান।

চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার দুজনকে আজ শনিবার দুপুরে চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।