নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে গ্রেপ্তার, রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেসবুকে সম্পর্ক তৈরি করে এক নারীর মোবাইল থেকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি নিয়ে তা ইমোতে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এক আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ।

আসামির নাম এ জেড এম শামসুদ্দিন খান (২৯)। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নির্মল কুমার আগরওয়ালা শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, এই আসামি পেশাদার অভ্যাসগত অপরাধী। এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে প্রকাশ করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে আসামি শামসুদ্দিন আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আগামীকাল এই আসামিকে আদালতে তোলা হবে।

গত বৃহস্পতিবার আসামি শামসুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ। আদালত সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে আসামি শামসুদ্দিনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
শামসুদ্দিন এখন যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামি শামসুদ্দিনের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নারীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্পর্ক তৈরি করে। পরে ওই নারীদের আপত্তিকর ছবি তাঁর নিজের মুঠোফোনে ধারণ করেন।
শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন এক নারী।

ওই নারী তাঁর মামলায় দাবি করেছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আসামি শামসুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে ২০১৬ সালের ১৫ জুন তাঁর (শামসুদ্দিন) সঙ্গে দেখা করেন। একসঙ্গে সেদিন বসে তাঁরা আলাপ-আলোচনা করেন। একপর্যায়ে ভুলে তিনি মুঠোফোনটি রেস্টুরেন্টের টেবিলে রেখে শৌচাগারে যান। তখন তাঁর (ওই নারীর) মুঠোফোন থেকে ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি আসামি তাঁর ফোনে নিয়ে নেন। এরপর থেকে আসামি ওই ছবির কথা বলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেন। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে তাঁর (নারী) অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করেন আসামি।