কালুরঘাটে সেতুর দাবি, সিপিবির লাল পতাকা পদযাত্রা

কালুরঘাটে রেলসহ সড়ক সেতুর দাবিতে সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিলের আয়োজন করে কমিউনিস্ট পার্টি। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় কালুরঘাট সেতু এলাকায়। ছবি: সৌরভ দাশ
কালুরঘাটে রেলসহ সড়ক সেতুর দাবিতে সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিলের আয়োজন করে কমিউনিস্ট পার্টি। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় কালুরঘাট সেতু এলাকায়। ছবি: সৌরভ দাশ

কালুরঘাটে দ্বিমুখী রেল ও সড়ক সেতুর দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা শাখা। তাদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সেতু ব্যবহারকারী এলাকার লোকজন। 

আজ শনিবার বিকেলে কালুরঘাট সেতু এলাকায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা শাখা নতুন দ্বিমুখী সেতুর দাবিতে এই পদযাত্রার আয়োজন করে। পদযাত্রার আগে সেতুর পশ্চিম পাশে সমাবেশ করে।
পরে ‘দাবি মোদের একটাই, কালুরঘাটে সেতু চাই’, ‘এক দফা এক দাবি কালুরঘাটে সেতুর দাবি’ এ রকম নানা স্লোগান দিতে দিতে প্রায় পাঁচ শ নারী-পুরুষ লাল পতাকা হাতে জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুর ওপর পদযাত্রা করেছেন। পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ এই সেতুটির বদলে একই জায়গায় রেলসহ সড়ক সেতু করে এই অঞ্চলের ২০ লাখ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবি তাঁদের।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি মৃণাল চৌধুরী। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিবি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুন নবী, সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, সহসাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মছিউদ্দৌলা, অধ্যাপক কানাই লাল দাশ, সিপিবি বোয়ালখালী শাখার সহসাধারণ সম্পাদক শেহাবুদ্দিন সাইফু, অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ।
মৃণাল চৌধুরী বলেন, এই সরকারের আমলে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সবকিছুর দাম বেড়েছে। কেবল বাড়েনি মানুষের দাম। দাম যদি বাড়ত তাহলে আজ বোয়ালখালী কালুরঘাট এলাকার মানুষকে সেতুর জন্য ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
মৃণাল চৌধুরী বলেন, সেতুর মাঝখানে কোনো যান বিকল হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের সেতু পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অবিলম্বে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা না হলে অক্টোবরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। এরপর বোয়ালখালীর সাধারণ মানুষদের নিয়ে পদযাত্রা করা হবে। পরে সেতু অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

গত ৮ আগস্ট প্রথম আলোতে কালুরঘাট সেতুর মরণদশা নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

১৯৩০ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় ৭০০ গজ দীর্ঘ কালুরঘাট রেল সেতু। ১৯৫৮ সালে এ সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার লোক পারাপার হয়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে বোয়ালখালী উপজেলায় পৌঁছাতে যেখানে সময় লাগার কথা আধঘণ্টা। সেখানে একমুখী এ সেতু দিয়ে চলাচলে সময় লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী রুটে চলাচল করে দুই জোড়া ট্রেন।