টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' এক রোহিঙ্গা নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্য। গতকাল শনিবার রাত একটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের পশ্চিম পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি হলেন হ্নীলার নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ ওরফে হাবিরান ডাকাত (৪০)।

পুলিশের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র, ১০টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২টি কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত দলের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুজিত চন্দ্র দে, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাজিম উদ্দিন ও কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন আহত হয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত ৮টার দিকে হ্নীলার মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির এলাকা থেকে অস্ত্রসহ হাবিব উল্লাহ ওরফে হাবিরান ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তাঁর সহযোগী ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় এসআই সুজিত, এএসআই নাজিমউদ্দিন ও কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে একপর্যায়ে ডাকাতেরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাবিবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খান এ আলম বলেন, রাতে পুলিশ চারজনকে নিয়ে আসে। এর মধ্যে হাবিবের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। হাবিবের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।

গত ৪ মে থেকে জেলায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক রোহিঙ্গা নারীসহ ৩৬ রোহিঙ্গা।