জাবি উপাচার্যের পদত্যাগ চান ফখরুল

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ‘ভাগাভাগিতে’ নাম আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিত অথবা তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে পদচ্যুত করা হয়েছে। টাকা ভাগাভাগির এই বিষয়টিকে ‘ফেয়ার শেয়ার’ নাম দিয়েছে ছাত্রলীগ। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ফেয়ার শেয়ার এর মধ্যে আবার এখন ভাইস-চ্যান্সেলরের নাম চলে এসেছে। উনি নাকি ইতিমধ্যে এক কোটি টাকা ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। দ্রুত তাঁর পদত্যাগ করা উচিত না হয় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া দরকার।’

থলের বিড়ালের মতো দুর্নীতি বের হয়ে আসছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বের করে দিয়ে তাঁরা স্বীকার করেছেন যে দুর্নীতি চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির চিরকুটে ছাত্র ভর্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোথায় আছে দুর্নীতিমুক্ত জায়গা? প্রতিটি জায়গায় পরীক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচারালয় কোথাও যাওয়া যায় না।’

আসামের নাগরিক তালিকা ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকারের অবস্থানকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলে উল্লেখ করেন ফখরুল। তিনি এ জন্য সরকারকে ধিক্কার জানান। এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যদি একবিন্দু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে বাংলার মানুষ কোনোদিন তা মেনে নেবে না।

সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ভিত নষ্ট করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে,গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে এবং বিচার বিভাগ দলীয়করণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করে ফেলেছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না বলে দাবি করেন তিনি। ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে সরকার নাটক করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে গণতন্ত্রকে আপনারা চলতে দিতে চান না। যারা গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করতে চায় তাদের আপনারা কাজ করতে দিতে চান না তাদের পথকে আপনারা বন্ধ করে দিতে চান।’

মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ।