এবার নতুন জুয়া 'ভালোবাসা'

‘শিলং তির’, ‘বউরানী’, ‘ঝান্ডুমান্ডু’। এমন নানা নামে সিলেটে চলে আসছে জুয়ার আসর। এবার পাওয়া গেল নতুন নাম ‘ভালোবাসা’। র‌্যাব গত রোববার রাতে পৃথক দুটো অভিযানে এমন জুয়ার আসর থেকে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আগের দিন ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে তারা। গতকাল সোমবার মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও ১০ জন। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেটে জুয়া বন্ধ করতে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছেন। এতে জুয়াড়িরাও কৌশল বদল করেছেন। এরই অংশ নতুন জুয়া ‘ভালোবাসা’।

র‌্যাব গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েম ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওবাইনের নেতৃত্বে রোববার রাতে অভিযান চালানো হয় দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায়। এ সময় তাঁরা সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন একটি গণশৌচাগারের সামনে টংদোকানে ‘ভালোবাসা’ নামে জুয়ার বোর্ড দেখতে পান। সেখানে জুয়া খেলা অবস্থায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হচ্ছেন মিন্টু মিয়া (৪০), সোহেল মিয়া (২৯), জুনাব আলী (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩০), রুবেল আলম (৩০), সাইফুল ইসলাম ওরফে রঙ্গিলা (৩৬), কামাল হোসেন (২৯), হুমায়ুন আহমেদ (২৭) ও মো. মতিউর হোসেন (২১)। জুয়ার বোর্ড, টাকাসহ ৯ জনকে রাতেই দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ১০টায় র‌্যাবের এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানার সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারে অভিযানে আটজন গ্রেপ্তার হন। এখানেও ‘ভালোবাসা’ জুয়ার বোর্ডে চলছিল খেলা। আটজন হচ্ছেন রিপন মিয়া (৩৩), আকরাম হোসেন (২৭) বুরহান উদ্দিন (৪৩), ওয়াসীম মিয়া (২৬), জামাল হোসেন (৪০), সুব্রত চক্রবর্তী (১৯), মো. মাহবুবুল রহমান (২৬) ও খুরশেদ আলী (৩৮)। তাঁদের রাতেই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাতে র‌্যাবের এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে নগরের পাঠানটুলার স্কলার্সহোম স্কুলের পাশে একটি চায়ের দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কামরান হোসেন (১৯), কবির ইসলাম (২৮), আবু বক্কর (৩০), রুমন (২১), আবদুল মিয়া (১৮), ওবায়েদুল্লাহ (২৯), আমশির (৩৬) ও ছোটন আলী (২৮) নামের ওই আটজনকে রাতেই কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।

এদিকে গতকাল দুপুরে জালালাবাদ থানার দিঘিরপাড় থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকেও ‘ভালোবাসা’ নামের জুয়ার বোর্ড উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন হচ্ছেন মওদুদ (২৬), দুলাল মিয়া (৩০), নিজাম উদ্দিন (৩৫), মাসুক মিয়া (৩৮), জৈন উদ্দিন (২৮), মকরম আলী (৪৫), আবদুস ছালাম (৪২), কয়েছ আহমদ (২৬), মো. কামাল (৫০) ও হারিছ আলী। এ ঘটনায় এসআই প্রদীপ সরকার বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।