সুরমার তীর পরিষ্কারে তিন ব্রিটিশ এমপি

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন ব্রিটিশ এমপিরা। গতকাল সকালে সুরমা নদীর কিনব্রিজ এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন ব্রিটিশ এমপিরা। গতকাল সকালে সুরমা নদীর কিনব্রিজ এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের সুরমা নদীর তীরে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ করলেন তিন ব্রিটিশ এমপি। গতকাল সোমবার সকালে সিলেটের কয়েকজন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে তাঁরা এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামেন। এ কাজে তিন এমপিসহ কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

সকাল ১০টা থেকে নগরের চাঁদনীঘাট এলাকায় নদীর পাড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এতে অংশ নেন ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি পল স্কালি, এনি মারগারেট মেইন ও বব ব্ল্যাকম্যান। তাঁদের মধ্যে মারগারেট কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা জানান, কয়েক মাস ধরে ‘ক্লিন সুরমা গ্রিন সিলেট’ স্লোগান তুলে একদল তরুণ সিলেট নগরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নানা কর্মসূচি নেয়।

সাংসদেরা আরও জানান, সিলেট তথা বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁদের দেশের সম্পর্ক অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই তাঁরা তরুণদের পরিচালিত এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এখানকার তরুণেরা যেভাবে পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় এগিয়ে এসেছে, এটি খুবই ইতিবাচক একটি বিষয় বলে তাঁরা মন্তব্য করেছেন। এ কাজে যদি তরুণদের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে, তবে তাঁরা সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সহায়তা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

‘ক্লিন সুরমা গ্রিন সিলেট’-এর অ্যাম্বাসেডর সায়েকা তাবাসসুম চৌধুরী নাহিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সংগঠনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাঁরা প্রতি শুক্রবার সিলেটের সুরমা নদীকে পরিষ্কার রাখতে স্বেচ্ছায় দুই পাড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। ৫২ সপ্তাহ তাঁরা এই অভিযান করবেন। এর মধ্যে ১৪ সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। তিনি জানান, সুরমা নদীর এই অভিযান সমাপ্ত হলে তাঁরা নগরের অন্য কোনো এলাকায় একই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তাঁদের এই ইতিবাচক বিষয়টি ব্রিটিশ এমপিরা জানতে পেরে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই মূলত তাঁদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তরুণদের এ কাজে সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

সিলেট সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সুরমার দুই পাড় তরুণেরা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচ্ছন্ন করছেন। তাঁদের কাজে উৎসাহ দিতে উপকরণগত সহায়তা দিয়ে সিটি করপোরেশন সহায়তা করছে। সুন্দর ও সবুজ সিলেট গড়তে তরুণদের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।