রেজওয়ানুল-রাব্বানীর পদচ্যুতি আরপিও লঙ্ঘন: বিএনপি

গোলাম রাব্বানী ও রেজওয়ানুল হক চৌধুরী
গোলাম রাব্বানী ও রেজওয়ানুল হক চৌধুরী

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানীর পদচ্যুতিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও লঙ্ঘন বলছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগে হস্তক্ষেপকে বেআইনি উল্লেখ করে বিএনপি প্রশ্ন করেছে, আওয়ামী লীগকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে কি না।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী থাকলেও নতুন আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আরপিও অনুযায়ী ছাত্রলীগ স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রও সে কথাই বলে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আওয়ামী লীগের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্রের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী ছাত্রলীগ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনমাত্র।

রিজভী জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে কোনো আদেশ-নির্দেশ দেওয়া বা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা কেবল পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, পদচ্যুতির ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দেখভাল করছেন। রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, এতে প্রমাণ হয় যে নিয়মনীতি, বিধিবিধান, আইনকানুন সব লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ ক্ষেত্রে আরপিও ভঙ্গ হয় কি না।

ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর স্থগিতাদেশের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী দাবি করেন, নিয়মনীতি মেনেই তাঁরা এ কাউন্সিল করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সরকার তা আদালতের মাধ্যমে স্থগিতের আদেশ দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ২৯তম কাউন্সিলের সময় ছাত্রলীগের নতুন নেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ছয়জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

রিজভী প্রশ্ন রাখেন, ছাত্রদলের মতো একই আদালতে কেউ যদি শোভন-রাব্বানীর পদচ্যুতি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করে, তবে স্থগিতাদেশ এবং শোকজের আদেশ দেওয়া হবে কি না। এ ক্ষেত্রে আদালত বা নির্বাচন কমিশন চুপ কেন, তাও জানতে চান তিনি।