স্বামীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রীসহ দুজন রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কাফরুল এলাকায় ছাদ থেকে ফেলে মেহেদী হাসান (৩০) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। নিহত মেহেদীর মায়ের করা মামলায় গত শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন নিহত মেহেদীর স্ত্রী তাসলিমা (৩০) ও ওই বাসার ভাড়াটে মাকসুদা আক্তার (৩৩)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাতে কাফরুল এলাকার বনফুল লেনের ভাড়া বাসার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে মেহেদীকে। মেহেদীর মা শাফিয়া বেগম বাদী হয়ে মেহেদীর স্ত্রী তাসলিমাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

শাফিয়া বেগমের দাবি, শুক্রবার রাত ১২টায় মেহেদীর শ্বশুর সাইদুর রহমান তাঁকে মোবাইল ফোনে জানান, মেহেদী ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে এসে ছেলেকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। মেহেদীর মাথার পেছনে, বাঁ কাঁধের পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান। ছেলের বউ তাসলিমাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, সাবলেট ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয় দুজনের। পরে বাসার ভাড়াটেদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদ থেকে কিছু একটা পড়ার শব্দ পান তাঁরা। পরে ভবনের দক্ষিণ কোনায় মেহেদীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন শাফিয়া বেগম।

মামলা হওয়ার পর তাসলিমা ও বাসার ভাড়াটে মাকসুদাকে গ্রেপ্তার করে কাফরুল থানার পুলিশ। শনিবার দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য দুজনকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত করতে গিয়ে নানা ধরনের তথ্য বেরিয়ে আসছে।

ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মেহেদী হাসানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর দ্বন্দ্ব ছিল। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের জোর চেষ্টা চলছে। এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।